OrdinaryITPostAd

আপনি জানেন কি পাকা ও কাঁচা কলা খাওয়ার পুষ্টিকর গুন

কাঁচা ও পাকা কলার উপকারীতার ব্যাপারে আমরা সবাই জানি। কলায় রয়েছে খনিজ, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার যা আমাদের শরীর সুস্থ্য রাখতে ভুমিকা রাখে। আপনিও শরীর ভাল রাখার জন্য নিয়মিত কলা খেতে পারেন। পাকা কলাই যেমন গুন রয়েছে তেমনি কাঁচা কলাতেও গুনের পরিমান কম নয়। তবে স্বাদে গুনে পাকা কলার গুনের বিকল্প নেই। 


বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত পাকা কলা খেলে অনেক ধরনের পুষ্টি পাবেন। এত রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬, ম্যাগনেসিয়াম, খনিজ লবন ইত্যাদি। তাছাড়া পাকা কলাই রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কাজেই নিয়মিতি পাকা কলা খেলে দেহের বিভিন্ন ধরনের দুর হবে। আসুন পাকা ও কাঁচা কলার পুষ্টিকর গুন সম্বন্ধে জেনে নিন।

কাঁচা কলা খেলে যে উপকার হয়

কাঁচা কলায় আছে ভিটামিন বি-৬, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও খনিজ।  এসব ভিটামিন থাকায় দেহকে সুস্থ্য রাখতে কাঁচা কলা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। আপনি যদি নিয়মিত কাঁচা কলা খান তাহলে আপনার শরীরে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিলে তা কমাতে সাহায্য করবে তার সাথে সাথে আপনার শরীরে সুপারের পরিমান বেশি থাকলে সুগার নিয়ন্ত্রন করবে। 


 

ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রনেও কাঁচা কলার জুড়ি নেই। কাজেই এই ধরনের সমস্যা ছাড়াও পেটের অসুখ দেখা দিলে বা পেটের অসুখ থেকে মুক্তি পেতে কাঁচা কলা খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। দেহকে সুস্থ্য রাখতে অবশ্যই কাঁচা কলা খাবেন। আমরা কাঁচা কলার গুরুত্ব না বুঝার কারনে অনেক সময় খায়না। দেহকে সুস্থ রাখুন বেশি করে কাঁচা কলা খান। 

যেভাবে কাঁচা কলা খাওয়া হয়

আপনি হয়তো জানেনা কাঁচা কলা কিভাবে খেতে হয়? এই কলা সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়। তবে কাঁচা কলা রান্না্ করে খেলে কলার মধ্যে যে ভিটামিন সি রয়েছে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তারপরও শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কাঁচা কলা খাওয়া প্রয়োজন। অনেকে কাঁচা কলা হচ্ছে গুনের রাজা। আবার কেউ বলে পাকা কলার গুন বেশি। কলার মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও সব ধরনের কলার উপকারীতা রয়েছে।

পুষ্টিগুনে ভরপুর পাকা কলা যার জুড়ি নেই

নিয়মিত পাকা কলা খেলে একাধিক  পুষ্টি পাওয়া যায়। শরীরের শক্তিতে বৃদ্ধিতে পাকা কলার গুরুত্ব অপরিসীম। শরীরে শক্তি না থাকলে কোন কাজে মন বসবেনা। মন ভাল থাকবেনা। শরীরে শক্তি থাকলে আপনি যে কোন কাজ যে কোন সময় অলসতা না করে কঠিন কাজে হলেও তা করতে পারবেন। শরীর ঠিক রাখতে বা আপনার শরীরের পুষ্টি ধরে রাখতে নিয়মিত অন্তত দুটি করে কলা খাবেন। 


 

তাহলে আপনার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হবেনা। পাকা কলা পেটের যে কোন খাদ্য হজমে সাহায্য করে। পাকা কলায় রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি। এজন্য এই কলা খেতে মিষ্টি হয়। কাজেই পুষ্টির দিক দিয়ে পাকা কলার জুড়ি নেই। কৃত্রিম চিনিতে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রন করা হয়, কিন্তুু পাকা কলা প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হওয়ায় এতে কোন প্রকার ভেজাল থাকেনা। 

ডায়াবেটিস রোগীরা কলা খাবেন কিনা

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা ও পাকা কলা  দুটোই খাওয়া উপকারী। তবে যদি আপনার ডায়াবেটিস এর মাত্রা বেশি হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক খাবেন। কেননা পাকা কলা মিষ্টি জাতীয়। পাকা কলা বেশি করে খেলে হয়তোবা ডায়াবেটিস বেশি হতে পারে বা সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সেদিকে আপনাকে লক্ষ্য রাখা উচিত। রোগীদের জন্য লক্ষ্য রাখা উচিত কি পরিমান কলা খেলে ডায়াবেটিস বাড়বেনা

 


নাস্তা বা ভাত খাওয়ার পর পাকা কলা খাওয়া যাবে কিনা

আমাদের মধ্যে অনেককে দেখা যায় ভরা পেটে বেশি করে কলা খেয়ে ফেলে বা অন্য ফল খেয়ে থাকেন। এতে করে শরীরের প্রচুর ক্ষতি হয়। যে কোন খাবার বেশি খেলে শরীরের জন্য ক্ষতি হবে। আবার কোন কোন ফল আছে যাদের মধ্যে কোন গুন বা উপকার নেই। অথচ আমরা সেগুলো বেশি করে খেয়ে ফেলি। সুতরাং পেট ভরে খাওয়ার পর ফল খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেই অভাস ত্যাগ করুন। খুবই যদি খাওয়ার ইচ্ছা হয় তাহলে আপনি এক থেকে দুই ঘন্টা পর সেই ফল খান। এতে তেমন ক্ষতি হবেনা। বরং উপকার পাবেন। 

পাকা ও কাঁচা কলার মধ্যে কোনটি খাওয়া  বেশি ভাল

বেশির ভাগ মানুষ কাঁচা কলার চেয়ে পাকা কলা খেতে বেশি পছন্দ করে। পাকা কলা খেলে মনের মধ্যে একটা অন্য রকম স্বাদ অনুভব করে। তবে পাকা কলা হচ্ছে মিষ্টি এবং কাঁচা কলা তরকারিতে রান্না করে খাওয়া হয়। যা ভাত বা নাস্তার সাথে আমরা খাই। এর স্বাদ বলতে মিষ্টি না হয়ে ঝাল লবন ঝাল হয়। দুটি ফলই শরীরের জন্য উপকারী। কোন ফলই দেহের জন্য ক্ষতি নয়। তাই আপনি দুটো ফলই খাবেন। এতে করে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি দুর হবে। 

কাঁচা কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে

কাঁচা বা সবুজ কলা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। এই কলায় রয়েছে রেসিসট্যান্ট স্টার্চ এবং পেকটিন নামক পদার্থ যা আপনার পেটকে ক্ষুধা লাগতে দেয়না। ঘন ঘন খাওয়া থেকে বিরত রাখে। ক্ষুধা কম থাকায় খাওয়ার প্রতি চাহিদা তেমন থাকেনা। কম খাওয়ার ফলে আপনার ওজন স্বাভাবিকভাবে কমে যাবে। কাজেই আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে কাঁচা কলা বেশি করে খাবেন।

হৃদরোগের জন্য কাঁচা কলা বিশেষ উপযোগী

কাঁচা বা সবুজ কলা ওজন কমানোর পাশাপাশি আপনার শরীরের হৃদরোগের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উপকার করবে। এটিতে প্রাকৃতিক ভাসোডিলেটর রয়েছে এবং এটি আমাদের ত্বককে সুস্থ্য রাখতেও সাহায্য করবে। ত্বকে কোন ধরনের সমস্যা থাকলে তা দুর করতে বিশেষ ভুমিকা রাখবে। কাজেই হা্র্টকে সুস্থ্য রাখতে বেশি করে কাঁচা বা সবুজ কলা খাবেন ।

শরীরের যে কোন অঙ্গে ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করবে

কাঁচা কলাই রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল কে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। কাঁচা কলাই বিটা -ক্যারোটিন  এবং অন্যান্য ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যেমন: লুটেইন এবং জেক্সানবিন রয়েছে যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে।

যারা নিয়মিত ব্যায়াম বা খেলাধুলা করে তাদের কলা খাওয়া প্রয়োজন

অনেকে আছে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং খেলাধুলা করেন তাদের জন্য পাকা কলা খাওয়া প্রয়োজন। আমরা যখন ব্যায়াম করি বা খেলাধুলা করি তখন আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে ঘাম ঝরে বা রেচন পদার্থ বের হয়ে যায়। এর ফলে শরীর থেকে কিছু পরিমান ইলেকট্রোলাইটিস অথবা খনিজ উপাদান ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। 


 

কলার মধ্যে প্রচুর পরিমানে খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। যেমন: ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। কাজেই ব্যায়াম বা খেলাধুলার করার পর কলা খাওয়ার অভ্যাস করবেন। এতে আপনার শরীরের জন্য উপকারী হবে। 

রাতের বেলায় কলা খেলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে 

কলা খাওয়ার অনেক গুন বা পুষ্টি থাকলেও এর সমস্যাও আছে। আপনি যদি রাতে কলা খান তাহলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। কাজেই আপনি রাতে কলা না খেয়ে সকালে নাস্তা খাওয়ার ১ বা ২ ঘন্টা পর খেলে তেমন সমস্যা হবেনা। এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন। 

যাদের ঠান্ডাজনীত সমস্যা তাদের কলা না খাওয়াই ভাল

অনেক ব্যক্তি আছে যাদের ঠান্ডাজনীত সমস্যা রয়েছে। ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে কলা না খাওয়াই ভালো। কারন বেশি পরিমান কলা খেলে আপনার ঠান্ডার প্রবনতা বেড়ে  যেতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে ঠান্ডার প্রবনতা বেশি হয়। কাজেই শিশুদের কলা খাওয়ার সময় দেখবেন যে তার ঠান্ডাজনীত সমস্যা আছেকিনা। 

পাকা কলা খেলে দাঁতের সমস্যা হতে পারে

পাকা কলাতে সুগার এবং কার্বহাইড্রেট এর পরিমান অনেক বেশি থাকায় আপনি যদি বেশি বেশি করে কলা খান তাহলে আপনার দাঁতের শির শির জনীত সমস্যা হতে পারে। ফলে যে কোন শক্ত খাবার চিবানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। কলা খাওয়ার সময় খেয়াল করবেন দাঁতের কোন সমস্যা হচ্ছেকিনা। 

উপসংহার: প্রিয় পাঠক , এতক্ষন আমরা কাঁচা ও পাকা কলা খাওয়ার যে পুষ্টিগুন সম্মন্ধে আলোচনা করলাম এতে আপনার কতটুকু ভাল লেগেছে তা নিচের কমেন্ট বক্স রয়েছে তা জানাবেন। ভাল লাগলে বেশি বেশি করে লাইক দিবেন। কাঁচা ও পাকা কলার  পুষ্টিকর গুন এবং তার কিছু সমস্যা তুল ধরলাম । আশা করি আপনাকে ভাল লাগবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪