OrdinaryITPostAd

১৫ দিনে ওজন কমানো উপায় জানুন

 স্বাভাবিক জীবন সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। স্বাস্থ্য যদি মোটা হয়ে যায় তবে অনেকে বিভিন্ন অসুবিধার মধ্যে পড়ে। জীবনকে সুখী ও সুন্দর করতে হলে ওজন কমানো একান্ত প্রয়োজন। শারিরীক ভাবে নিজকে ফিটনেস রাখার জন্য নারী ও পুুরুষ উভয়েই ওজন কমানোর চেষ্টা করে। কিন্তুু বিভিন্ন ব্যস্ততার কারনে ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম বা ডায়েট কন্ট্রোল করা সম্ভব হয়না। 







দ্রুত ওজন কমানোর জন্য বেশিকিছু কৌশল অবলম্বন করা উচিত। তবে একটি বিষয় মনে রাখবেন ওজন কমানোর আগে চিকিৎসকের কাছে  প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রত করবেন। কেননা আপনার স্বাস্থ্য ঠিক আছেকিনা তা জানা দরকার। 

আপনার ওজন কমানোর অভ্যাস এমন ৮টি  উপায় দ্রুত সাফল্য আসবে । ওজন কমানোর সাথে সাথে আপনার শরীর সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করবে।

ক) আধা লিটার পানি খাবেন: সকালে নাস্তা খাওয়ার আগে আধা লিটার পানি খেয়ে নিবেন। মনে হবে পেট ভরে গেছে। তখন আপনি নাস্তা কম খাবেন। তাছাড়া পানিতে কোন ক্যালরী নেই , আবার ওজনও বাড়ায়না। কোন দুশ্চিতা ছাড়া আপনি নাস্তা খাওয়ার আগে আধা লিটার পানি খেয়ে নিবেন। এভাবে কিছুদিন নিয়মিত পানি খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।


 

 

 

 

 

 

খ) দিনের নাস্তা ঠিক করে ফেলা: ক্ষুধা লাগলে কি খাবেন এ বিষয়টি আগে থেকেই ঠিক করবেন। দেখা যায় যখনই ক্ষুধা লাগে তখন হাটে বাজারে যে কোন জায়গাতে বিভিন্ন ধরনের ভাজা পোড়া, যেমন: সিংহড়া, পিয়াজি, পুরি, বিভিন্ন রকমের মিষ্টি ইত্যাদি আমরা খেয়ে ফেলি। এতে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে আমরা যদি মনে করি বাড়িতে তৈরিকৃত রুটি বা ফল সাথে নিয়ে বাইরে গিয়ে খেলে শরীরের তেমন ক্ষতি হয়না। এভাবে নিয়মমত খাবার খেলে ওজন কমে যাবে।

গ) সকালে হেঁটে বিভিন্ন কাজে বা স্কুলে যাওয়া: সকালে যখন কোন কাজে যাবেন বা বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যাবেন তখন দেখবেন হেঁটে যাওয়া যায় কিনা । বেশি দুর হলে একটু একটু করে হাঁটা শুরু করেন। দেখবেন হাঁটার অভ্যাস হয়ে যাবে। তবে হাঁটার সময় দ্রুত হাঁটবেন। এতে করে আপনার শরীর হালকা থাকবে এবং ওজন কমে যাবে। 

ঘ) চিনি ছাড়া চা ও কফি খাবেন: সকালে যদি চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে চিনি ছাড়া খাওয়ার অভ্যাস করবেন। প্রথমে একটু ভাল না লাগলেও আসতে আসতে অভ্যাস হয়ে যাবে। চিনিতে বাড়তি ক্যালরীর পরিমান বেশি থাকায় ওজন বেড়ে যায়। তাছাড়া চিনিতে কোন পুষ্টি পাওয়া যায়না। তাই স্বাস্থ্যকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য চিনি ছাড়া চা ও কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন। 


 

 

 

 

 

 

 

ঙ) কয়েকদিন পর পর সকালে ওজন  মাপা: গবেষনায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত ওজন মাপে তারা শরীরের ওজনের ব্যাপারে বেশি সচেতন হয়। এজন্য আপনি কয়েকদিন পর পর ওজন মাপার চেষ্টা করবেন। ওজন মাপার নিয়ম হচ্ছে সকালে টয়লেট সেরে খালিপেটে মাপা। 











ঘ) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার  খাবেন: আপনি প্রতিদিন কি পরিমান খাবার খাচ্ছেন সেদিকে লক্ষ রাখা দরকার।দ্রুত ওজন কামানার জন্য দিনে যে পরিমান  ক্যালোরি গ্রহন করছেন তার চেয়ে অন্তত ৫০০-৬০০ কিলো ক্যালরী কম খেতে হবে।

ঙ) শাকসবজি বেশি করে খাবেন: শাকসবজিতে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। নিয়মিত ভাত বা রুটি খাবারের সাথে সাথে বেশি বেশি করে সবজি খেলে শরীর ভাল থাকবে এবং হজম বা পেটের কোন ধরনের সমস্যা হবেনা। কাজেই সবজি খেলে শরীরের ওজন কমে যাবে।

চ) ক্যালরি যুক্ত খাবার খাবেন: ক্যালরীযুক্ত খাবার খাবেন। আপনার শরীরে কতটুকু ক্যালরী দরকার তা জানার জন্য চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে যে পরিমান ক্যালরী দরকার শুধু সেই পরিমান ক্যালরীযুক্ত খাবার খাবেন। অতিরিক্ত ক্যালরীযুক্ত খাবার শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে। এই নিয়ম অনুযায়ী খাবার খেলে দেহের ওজন কমে যাবে।

ছ) দিনে অন্তত ৫/৬ বার খাবার খাবেন: কোন বেলার খাবারকে বাদ দেয়া যাবেনা। সকাল, দুপুর ও রাতে পরিমিত খাবার এবং অন্যান্য সময় হালকা খাবার খাবেন। এভাবে খাবারগুলোকে ভাগ করে খাবেন। কোন বেলা বেশি আবার কোন বেলা কম খাবেন তা খাবেন না। না খেয়ে শুধু ওজন কমানো যাবেনা।

জ) ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাবেননা: কোমল পানীয়, ফাস্টফুড জাতীয় খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, খাবার সোডা এসমস্ত খাবার খাবেন না। এই খাবারগুলো খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই সমস্ত খাবার থেকে এডিয়ে চলুন। 

যে কোন খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন

আমরা যে কোন খাবার যতটুকু দরকার পেট ভরে খাই। কিন্তু এই অতিরিক্ত খাবার দেহের জন্য উপকারী নয়। কেননা বেশি খাবার খেলে বদ হজম হবে। বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধিও হতে পারে। যেমন: পেট ব্যাথা, পাতলা পায়খানা, এমনকি পায়খানা কষাও হতে পারে। যা শরীরকে নিস্তেজ করে দেয়। কাজেই আপনি যদি মনে করেন আমি ২ প্লেট ভাত খেতে পারবো। সেটা না খেয়ে ১ প্লেট খাওয়ার চেষ্টা করবেন। পেটের কিছু অংশ খালি থাকলেও হজের জন্য ভালো। 

নিয়মিত ব্যায়াম করা শরীরের জন্য উপকারী

নিয়মিত ব্যায়াম একদিকে যেমন শরীরের ওজন কমায় তেমন শরীরকে স্মাট ও ফিটনেস করে তোলে। ব্যায়াম শুধু বাইরে নয়, ঘরের ভিতর কতগুলো ব্যায়াম করা যায়। প্রতিদিন সকালে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ব্যায়াম করুন। রাতে খাবারের সাথে সাথে না ঘুমিয়ে অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটেন। এর পর ঘুমাতে যান। 


 

 

 

 

 

এভাবে ৩ মাস এই নিয়মগুলো মেনে চলুন দেখবেন ওজন কমে গেছে। একটি কথা মনে রাখবেন, ব্যায়াম করতে গিয়ে কিছুদিন পর যদি থেমে যান তাহলে আবার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। কাজেই শরীরের ওজন কমাতে গেলে আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়ামের মাধ্যমে কিছু কিছু রোগ ভালো হয়ে যায়। শরীর খুব হালকা লাগে এবং পেশিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। 

লেবুর রস খেলে ওজন কমানো যায়

আপনি যদি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক টুকরা লেবুর রস খান  এরপর সকালে নাস্তা, দুপুরে ভাত এবং রাতে রুটি খান তবে খাবারগুলো পরিমিত পরিমানে খাবেন এরপর রাতে ঘুমাবেন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে আপনার ওজন অনেক কমে গেছে। কাজেই আপনি যদি প্রকৃতভাবে ওজন কমাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি প্রতিদিন সকালে লেবুর রস খাবেন। 

খাবারের জন্য ছোট থালা বেছে নিন

আমরা বিশেষ করে দুপুরে বেশি করে খাই। বিশেষ করে আমরা যখন কোন অতিথির অনুষ্ঠানে খাবার খেতে যায় তখন দেখা যায় যে পরিমান খাবার খাই তার চেয়ে অনেক বেশি খেয়ে ফেলি। এতে আমাদের ওজন বেড়ে যায়। কিন্তু আমরা যদি ছোট থালা নিয়ে খাবার খাই তাহলে অন্তত ২০ শতাংশ কম খাওয়া হবে। 

 উপসংহার: পরিশেষে বলতে পারি পরিমিত খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল  ইত্যাদি মেনে চললে , সময়মতো রাতে ঘুমালে , টেনশন মুক্ত থাকলে, ওজনকে নিয়ন্ত্রন রাখলে শরীর সুস্থ্য থাকবে।  প্রতিটি মানুষের জ্ন্য বয়সভেদে ওজন নিয়ন্ত্রন করা দরকার। আপনার ওজন যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। কাজেই শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চলবেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪