OrdinaryITPostAd

৭ দিনে মোটা হওয়ার জন্য যেসব গুরুত্বপূর্ন উপায় জানা দরকার

 আসলে মোটা হওয়া সকল ব্যক্তির নিকট প্রযোজ্য নয়। কেননা কোন  মানুষ মোটা, আবার কোন মানুষ চিকন বা পাতলা । যারা চিকন তাদের কাছে মোটা হওয়া আকাঙ্খিত বিষয়। চিকন ব্যক্তিকে অনেকে অনেক কথা বলে থাকে। কেউ কেউ বলে তুমি কি ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করোনা? অথবা তোমাকে কি বাড়িতে ঠিকমতো খেতে দেয় না? অনেকে বলে তোমাকে ঠিক শুটকি মাছের মতো মনে হয়। তখন নিজকে খুব খারাপ লাগে। এসব কথা শুনতে শুনতে বিরক্তিকর মনে  হয়। 

 







৭ দিনে মোটা হওয়ার জন্য ক্যালরি যুক্ত খাদ্য খাবেন

 ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গ্রহন  করলে দ্রুত মোটা হওয়া সম্ভব। এজন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়  কার্বোহাইড্রেট থাকা দরকার। যেমন: ঘি, মাখন, ডিম,গরু ও ছাগলের মাংস, কোমল পানীয়, খেজুর ইত্যাদি বেশি বেশি করে  খেতে হবে।  আপনি প্রতিদিন ক্যালরীযুক্ত খাবার ৪০০-৫০০ গ্রাম গ্রহন করেন তাহলে আপনার দেহের  পরিবর্তন  আসবে এবং ৭ দিনের মধ্যে মোটা হয়ে যাবেন ।

দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য প্রোটিনযুক্ত খাদ্য খাবেন

প্রোটিনের ঘাটতি  থাকলে মানুষের ওজন কমে যায়। কাজেই যারা মোটা হতে চান তারা প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন । প্রতিদিনি খাবারের সময় তালিকায় প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন, দুধ, ডিম ইত্যাদি। এসমস্ত খাবার কিছুদিন খেলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওজন বেড়ে যাবে এবং তাড়াতাড়ি মোট হবেন।

টেনশমুক্ত স্বাভাবিক  জীবনযাপন করার চেষ্টা করবেন

বেশিরভাগ মানুষের বড় সমস্যা হলো টেনশন। টেনশনের কারনে রাতে ঘুম কম হয়, খাবার ঠিকমত খেতে পারেনা। এমনকি মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। ফলে নানারকম রোগ ব্যাধি দেখা দেয়। আপনি যদি টেনশনমুক্ত থাকতে পারেন তাহলে আপনার ওজন বেড়ে যাবে। ফলে আপনি মোট হবেন। 


 

 

 

 

 

 

প্রায় মানুষ পারিবারিক ভাবে অভাবের কারনে সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করার জন্য জীবনের লক্ষ্য না রেখে জীবিকার উদ্দেশ্যে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করছে। এতে স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।  কিন্তু শরীরকে সুস্থ্য রাখার জন্য টেনশন মুক্ত রাখার জন্য বিশ্রামের প্রয়োজন। 

সুস্থ্য শরীরের জন্য সময়মত ঘুমানোর চেষ্টা করবেন

বিভিন্ন চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে সুস্থ্য শরীরের জন্য , শরীরকে মোটা করার জন্য স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য জন্য প্রতিটি মানুষকে দৈনিক ৮/৯ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। মনে রাখবেন ঘুম যদি ভালো হয় তাহলে মন মস্তিস্ক হালকা থাকে, মানুষিক দুশ্চিন্তা দুর হয়, মাথার মধ্যে কোন চাপ থাকেনা। এমনকি রোগব্যাধিও কম হয়। রাতে ঘুম হওয়ার কারনে অনেকের মাথার সমস্যা দেখা দেয়। 

আপনি যদি মানুষিকভাবে সুস্থ্য থাকতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত দিনে ও রাতে কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততা কারনে মানুষ রাত করে ঘুমায়। ঘুম না হওয়ার আর একটি কারন হলো প্রায় মানুষের কাছে টাচ ফোন থাকায় রাতে ফেসবুক, ইউটিউব  ইত্যাদি মোবাইলে দেখার ফলে রাত ১২ বা তার অধিক সময় কাটিয়ে দেয়। ফলে ঘুমের যে সঠিক সময় সেই সময়টুকু ব্যয় করে দেয়। এটা একটা অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। যা ঘুমের জন্য হুমকি স্বরুপ। আপনাদের চেষ্টা করতে হবে রাত ১০ টার মধ্যে ঘুমিয়ে যাওয়া। 








ঘুমানোর আগে মধু খেয়ে ঘুমাবেন

আপনি  রাতে ঘুমাবনার একটু মধু খেয়ে ঘুমাবেন। কেননা ঘুমের অবস্থায় আপনার শরীরে যে ক্যালরী রয়েছে তার কিছুটা ব্যয় হয়। এই ক্যালরীর ঘাটতি দুর করতে মধু বিশেষভাবে কার্যকর। মধুতে ক্যালরী ও পুষ্টি উভয় রয়েছে । কাজেই আপনি যদি প্রতি রাতে ১ চামচ করে মধু খান তাহলে আপনার শরীর মোটা হয়ে  যাবে। 

মোটা হওয়ার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা করবেন

চিকিৎসক কিংবা অনেকে বলে থাকেন শরীর পাতলা করার জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। কিন্তু মোটা হওয়ার জন্যও  কি ব্যায়াম করা প্রয়োজন? আসলে শরীর মোটা হওয়া বড় কথা নয় , শরীরের ফিটনেস ঠিক রাখাটাই মুল বিষয়। এখন মানুষ বুঝতে শিখেছে কিভাবে শরীর ফিট থাকবে। আপনাকে শরীরকে স্মাট করে তুলবে। স্মাট শরীর জীবনকে বদলে দেবে। 

দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য শসা ও খেজুর বেশ কার্যকর

খুব অল্প সময়ের মধ্যে মোটা হতে হলে আপনাকে শসা ও খেজুর খেতে হবে। যেহেতু ফল দুটি একসাথে খেতে হবে সেহেতু আপনি এই খাবারকে একটি খাবার বলতে পারেন। খেজুর ও শসা আপনি কখন খাবেন এবং কিভাবে খাবেন তা জানানো হচ্ছে। পুষ্টিগুনে ভরপুর খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। 


 

 

 

 

 

 

 

তাছাড়া উপকারী ফল সবজি  হিসেবে শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, পটাসিয়াম ইত্যাদি। এসব উপাদানে শরীরের পুষ্টিতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে। তাছাড়া শসাতে রয়েছে এনজাইম নামক উপাদান এবং খেজুরে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট। শসা ও খেজুরের এদুটি উপাদান মানুষের খাবার হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে । 

কাজেই শসা ও খেজুর একত্রে খেলে দ্রুত ওজন বাড়াতে বিশেষভাবে ভুমিকা রাখে। আপনি জানলে অবাক হবেন যে সৌদিআরবসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মানুষ মোটা হওয়ার জন্য শসা ও খেজুর একত্রে খায়।  এটি মোটা হওয়ার ১০০% কার্যকরী উপায়। আপনাকে মোটা হতে হলে শসা ও খেজুর একত্রে খেতে হবে। এটি মুলত ২ বার খেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমানো আগে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ৫ থেকে ৬টা খেজুর নিবেন এবং ৫ থেকে ৬ টুকরো শসা নিবেন একত্রে চিবিয়ে খাবেন। 

একইভাবে রাতে ঘুমানোর আগে খাবেন। তবে মনে রাখবেন শসাগুলো চাকু বা অন্য কিছু দিয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিবেন। এর পর ২ থেকে ৩ টুকরা শসা এবং ৫ থেকে ৬টি খেজুর একসাথে খাবেন। এভাবে টানা ৭ থেকে ১০ দিন খেলে আপনার ওজন বাড়তে শুরু করবে। 

যাদের ওজন কম তাদের কিভাবে ওজন বাড়াবেন

ওজন কম হওয়ার জন্য প্রথমে দেখতে হবে যে তার ওজন কি জন্ম থেকেই কম ছিল , নাকি হরমোন জনীত কোন সমস্যা আছে বা ক্রিমিনাশক ওষুধ ঠিকমত খেয়েছিল কিনা সেটা জানার জন্য চিকিৎসকের নিকট জেনে নিবেন।  আরও জানবেন সব খাবারের প্রতি আপনার রুচি আছে কিনা । যদি  খাবার  ঠিকমত না খেতে পারেন তাহলে বুঝবেন আপনার শরীরের যে বিভিন্ন  যন্ত্র রয়েছে তার সবগুলো ঠিকমতো কাজ করছেনা। কাজেই কোন সমস্যা থাকলে সেগুলোর সমাধান করলে আপনি সব খাবার খেতে পারবেন এবং আপনার ওজন দ্রুত বেড়ে যাবে। 

ওজন বাড়ানোর জন্য কখন কি খাবেন তা জেনে নিন

ওজন বাড়ানোর জন্য সকালের নাস্তায় যে খাবারগুলো খাবেন তা হলো- দুধ, কলা, ডিম  ও খেজুর। আমাদের শরীরে যতগুলো পুষ্টি দরকার তার সবগুলো দুধে পাওয়া যায়।  দুধের এর একটি সুবিধা হলো যে কোন খাবার খাওয়ার সাথে সাথে এক গ্লাস দুধ খাওয়া যায়। কলা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সাহায্য করে। এতে প্রচুর ফাইবারআছে যা আমাদের  হজমে সাহায্য করে। 

তাছাড়া কলা খুব সহজলভ্য । একে সহজে বাজারে পাওয়া যায় কম দামে। ডিমে ভিটামিন  এ আছে যা আমাদের চোখ ও ত্বককে ভাল রাখে। তাই সকাল সকাল নাস্তার সাথে একটা সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন। দুপুরের খাবারে ডাল রাখবেন। পাতলা ডাল না খেয়ে ঘন ডাল খাবেন। ডালে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন আছে। ডালে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম বিভিন্ন ধরনের উপাদান আছে। 

ডাল আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে । আমাদের শরীরের নাড়িভুড়িতে প্রচুর পরিমানে জীবানু আছে সেগুলো পরিস্কার করতে সহায়তা করে। ডাল হচ্ছে জীবানুর একপ্রকার খাদ্য। যেগুলোকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এর সাথে এক বাটি টক দই খেতে পারেন। দুপুুরের খাবারে মুরগীর মাংস খেতে পারেন। গরুর মাংস, খাসির মাংস না খাওয়াই ভালো। কেননা এই মাংসগুলোতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। 

ওজন বাড়ানোর সময় যে সব বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার

ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে দ্রুত ওজন বাড়ার চেয়ে ধীর গতিতে বাড়ানো উত্তম। ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩ ঘন্টা ব্যায়াম করবেন। তবে কিছু বিষয় জেনে নেয়া দরকার যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আছে তাদের ওজন বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। আবার যাদের ওজন কম তাদের ওজন বাড়াতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। কিছু রোগের কারনে ওজন কমে যেতে পারে যেমন: ডায়াবেটিস, মানসিক রোগ হলে  ওজন কম হতে পারে। কোন কারন ছাড়া ওজন কমে গেলে চিকিৎসা নিতে পারেন। ওজন বাড়ানোর জন্য নিজে নিজে কোন ওষুধ খাবেননা।  এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে যা শরীরের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে। 

উপসংহার: সাত দিনে ওজন বাড়ানোর জন্য যদি উপরের নিয়মগুলো ঠিকমতো মেনে চলেন তাহলে অবশ্যই দ্রুত ওজন বেড়ে যাবে। তবে জেনে রাখা উচিত অতিরিক্ত ওজন বাড়লে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা দিতে পারে। এজন্য শরীরের সব দিক ঠিকমত দেখে আপনি যা যা খাওয়া দরকার সেগুলো খাবেন এবং সময়মত প্রতিদিন ব্যায়াম করবেন।  তাহলে খুব সহজে ওজন বেড়ে যাবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪