আপনি জানেন কি লাইফ স্টাইল কিভাবে জীবনকে বদলে দেয়
প্রতিটি মানুষের জীবুনিকেন্দ্রিক যে শব্দটি ব্যবহৃত হয় তাই হচ্ছে লাইফস্টাইল। লাইফ শব্দটি ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো জীবন এবং স্টাইল বলতে বোঝায় ধরন, প্রকার, রকম, পদ্ধতি ইত্যাদি। তাই লাইফ স্টাইলের বাংলা হচ্ছে জীবনযাপনের পদ্ধতি। জীবনের সমস্ত দিককে বলা হয় লাইফ স্টাইল যা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যেভাবে জীবন চালানো হচ্ছে তার পুরোটাই। জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন খাদ্যগ্রহন।
কিভাবে মানুষের স্বাচ্ছন্দ জীবন পরিচালিত হয়?
আবার এর সাথে আনুসাঙ্গিক প্রয়োজানগুলোও এর মধ্যে রয়েছে। জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জন্ম থেকে খাবারের প্রয়োজন সেই সাথে সুন্দর পরিবেশ, স্বাচ্ছন্দ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন নিরাপদ স্থান, সুন্দরভাবে চলার জন্য প্রয়োজন পরিধেয় বস্ত্র। বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকার জন্য প্রয়োজন সুচিকিৎসার ব্যবস্থা। প্রকৃতি প্রদত্ত আলো, বাতাস, অনুকুল আবহাওয়া ইত্যাদি প্রয়োজন। মহান আল্লাহ প্রদত্ত শরীরের ভিতরে এমনি একটি যন্ত্র দিয়েছেন যার নাম হচ্ছে হৃদযন্ত্র। এই যন্ত্র দ্বারা অক্সিজেন গ্রহন করে কার্র্র্বনডাই অক্সাইড পরিত্যাগ করে। হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে গেলে জীবন আর টিকে থাকেনা।
ভালো ঘুমের জন্য মেলাটোনিন হরমোন কিভাবে বাড়ানো যায়?
সুস্থভাবেবেঁচে থাকার জন্য ঘুম স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং শারিরীক ব্যায়াম প্রয়োজন। কিন্তু এখন পৃথিবীর প্রায় মানুষ রাত জেগে বিভিন্ন ফেসবুক , ইউটিউব, মুভি ইত্যাদি দেখে । ফলে রাতে তেমন ঘুমায়না যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কাজেই সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত ঘুমা প্রয়োজন। সেই সাথে শারিরীক ব্যায়াম, দৈনিক সকাল বেলা অন্তত ২ ঘন্টা হাঁটা, শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য পরিমিত খাবার , বিভিন্ন ধরনের ফল ইত্যাদি খাওয়া প্রয়োজন।
দাম্পত্য জীবনে দ্বন্দ্ব কলহ সন্তানের মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলে
বাবা মায়ের কাছে সন্তান এতটাই মুল্যবান যা অন্য কিছুর সাথে তুলনা করা যায়না। নিজের সন্তান যেন সুরক্ষিত থাকে, সুস্থ্য ভাল থাকে, ঠিকভাবে বেড়ে ওঠে এটাই সকল বাবা মায়ের কাম্য । কাজেই সন্তানের মানসিক বিকাশের উপর যেন প্রভাব না পড়ে যে জন্য দাম্পত্য জীবনে সুন্দর , স্বাভাবিক, শান্তিময় জীবন গড়ে ওঠে । কিন্তুু যদি দাম্বত্য জীবনে কলহ , বিবাধ লেগেই থাকে তাহলে সন্তানের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
ফ্যাশনে শুধু মেয়েরা নয়, ছেলেদেরও ফ্যাশনে যে বিষয় জরুরী
বর্তমান যুগে মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও ফ্যাশনের ক্ষেত্রে সচেতন। তবে ফ্যশন বলতে এটাই বোঝায়না যে ব্র্যান্ডের পোশাক, একটু বুদ্ধি খাটিয়ে হাতের কাছে পাওয়া কম দামি ভালো পোশাক রয়েছে। সেগুলো ব্যবহার করেও ফ্যাশন হতে পারে। দামী পোশাক পরে যদি এর যত্ন না নেয়া হয় তাহলে সেই পোশাকের রং উঠে যেতে পারে , নস্ট হয়ে যেতে পারে । কাজেই দম দামী হলেও যদি সেগুলো যত্ন সহকারে রাখে এবং ব্যবহার করে তাহলে বেশ ভালো লাগবে।
চুল ও দাড়ি যেভাবে রাখলে দেখতে ভালো লাগে
যাকে যেভাবে চুল কাটলে দেখতে ভালো লাগবে সেভাবে চুল বা দাড়ি কেটে সাইজ করতে হবে। একটি মানানসই চুল বা দাড়ির কাটিং আপনাকে অনেকাংশে ফ্যাশানেবল করে তুলবে। দাড়ি কাটার ক্ষেত্রে সেভ করে নেয়। অনেক ব্যক্তিকে ভালো লাগলেও সবাইকে ভালো লাগেনা। আপনার মুখে যদি দাড়ি গোফ মানায় তাহলে সেই অনুযায়ী দাড়ি গোফ রাখুন। এতে করে আপনি ফ্যাশানেবল। ছেলেরা যেহেতু বেশিরভাগ বাইরে থাকেন সেহেতু তারা ঘামে বেশি। তাই অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে পারফিউমের দিকে। বাসা থেকে বের হবার সময় গোসল করে ফ্রেশ হয়ে বডি স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এর সাথে সাথে ঘড়ি, সানগ্লাস, মোবাইল, ইত্যাদি ব্যবহার করুন। আবার যারা কর্মজীবি মানুষ তারা বের হবার সময় সাইড ব্যাগে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, দুরে কোথাও গেলে একাধিক শাট, প্যান্ট, তোয়ালে, টুথব্রাশ ইত্যাদি ।
জুতোর দিকে অবশ্যই নজর দিন। কথায় বলে এজন মানুষকে চেনা যায় তার জুতো দিয়ে । জুতো সবসময় পরিস্কার রাখুন ময়লাযুক্ত যুতো পরবেননা। জুতোতে দাগ বা মলিন হয়ে গেলে পালিশ করে নিবেন। একই স্টাইল বেশিদিন ব্যবহার করবেন না। মাঝে মাঝে স্টাইল পরিবর্ন করবেন। পোশাক পরিবর্তন , চুলের কাটিং, গোফের সাইজ ইত্যাদি করবেন । এতে করে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনাকে কোন পোশাকে কেমন লাগছে।
ছেলেদের ফ্যাশানেবল ফর্মাল লুকের জন্য জরুরী যে বিষয়গুলো
ছেলেদের মধ্যে বেশির ভাগ ছেলে অগোছালো থাকতে পছন্দ করেন। একেবারে প্রয়োজন অথবা বাধ্য না হলে ফর্মাল লুকে থাকতে পছন্দ করেনা। ক্যাজুয়াল লুকই পছন্দ করেন। ফর্মাল লুকের জন্য যে ৪টি বিষয় জরুরী প্রয়োজন-
ক) ফর্মাল শার্ট: ফর্মাল লুকের জন্য যে কোন রং এর শার্ট ব্যবহার করা যায় কিন্তু ব্লেজার বা স্যুটের জন্য সাদা রং এর শার্ট:ব্যবহার করলে বেশি মানানসই মনে হবে।
খ) কালো চামড়ার জুতা: ফর্মাল লুকের জন্য অন্য জুতা ব্যবহার না করে কালো চামড়ার জুতা ব্যবহার করলে বেশ মানায়। এতে করে ফর্মাল লুকের জন্য আভিজাত্য আনতে উৎসাহিত করে।
গ) টাই: বিভিন্ন শাটের রং এর সাথে মিল করে বা সামঞ্জস্য রেখে টাই ব্যবহার করলে ফর্মাল লুকের জন্য যথেষ্ট মানাবে। এতে করে আভিজাত্য বৃদ্ধি পাবে।
স্যুট বিষয়ে প্রত্যেক পুরুষের জানা উচিত
ফর্মাল লুকের জন্য স্যুটের বিকল্প নেই। যে কোন পাটিতে ফ্যাশানের জন্য স্যুট একটা ফ্যাশান হয়ে গেছে। বর্তমানে স্যুটকে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছে। স্যুট তৈরির কিছু নিয়ম জানা উচিত।
বানান স্যুট ব্যবহার করা শরীরের জন্য মানানসই
রেডিমেট স্যুট ব্যবহার না নিজের শরীরের মাপ অনুযায়ী স্যুট তৈরি করা হলে শরীরের সাথে ম্যাচ করবে। রেডিমেট স্যুট মাপে ঠিক থাকলেও সেটা সঠিকভাবে মানানসই হবে না। তাছাড়া ভালো কাপড়ের স্যুট ব্যবহার করা হলে ভালো লাগবে।
দুই বোতামের স্যুট ব্যবহার করলে মানানসই হবে
সবচাইতে উন্নতমানের স্যুট হচ্ছে দুই বোতামের স্যুট। যে কোন ব্যক্তি লম্বা বা খাটো যে সাইজের হোকনা কেন তার জন্য দুই বোতামের স্যুট বেশি ভালো লাগবে এবং তাকে স্মাট মনে হবে। এজন্য দুই বোতামের স্যুট ব্যবহার করা উচিত।
স্যুটের জন্য পছন্দ অনুযায়ী একটি রং বাছাই করুন
বাজারে বিভিন্ন রং এর স্যুট রয়েছে। কাজেই সেই সকল রং থেকে শরীরের সাথে ম্যাচ করে মানান সই একটি রং বেছে নিন। জেনে রাখবেন স্যুটের রং যেন বেশি ঝলমলে না হয় এবং আপনার গায়ের রং এর সাথে ম্যাচ করে। জায়গা বিশেষে স্যুটের রং পছন্দ করবেন।
স্যুটের সঠিক মাপ জেনে নিন
স্যুট বানানোর জন্য ভালো টেইলর খুজে বের করুন। যার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আছে। দক্ষতা সম্পন্ন টেইলর আপনার সঠিক মাপ নিয়ে সঠিকভাবে স্যুট বানাতে পারবে। ঠিকভাবে মাপ না হলে আপনার কাপড় বাদ হয়ে যেতে পারে। মাপ করার জন্য হাতের মাপ, বুকের মাপ, কাঁধের মাপ যেন সঠিক হয় । মাপের ক্ষেত্রে একটু বেশি লম্বা বা খাটো হলে আপনার স্যুটটি কোন কাজে লাগবেনা। সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
ছেলেদের চুলের স্টাইল যেভাবে করবেন
ব্যক্তিবিশেষে ছেলেদের ব্যক্তিত্বের প্রতি খেয়াল রেখে চুলের ধরন অনুযায়ী সাইজ করতে হবে। বয়সের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ছেলেদের চুলের কাটিং করা প্রয়োজন। যাতে করে দেখতে ভাল লাগে। তানা হলে দেখতে ভাল লাগবেনা। বিভিন্ন ধরনের চুলের কাটিং রয়েছে । তাই বয়সভেদে চুলের কাটিং করে সাইজ করবেন। চুল কাটতে হলে কপালের চুল ছোট এবং মাথার উপরের চুল একটু বড় করতে হবে এবং পেছনের চুল মাঝারি সাইজের হবে। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের চুলের কাটিং এরও পরিবর্তন হচ্ছে।
যেভাবে ঘরে বসে জিম করে স্মাট হওয়া যায়
ঘরে বসে জিম করে শরীরের দৈহিক গঠন স্মাট হবে। সাংসারিক জীবনে বিভিন্ন ব্যস্ততার জন্য শরীরের প্রতি নজর দেয়া হয়না। টেনশন , দুশ্চিন্তা, কর্মজীবন ইত্যাদি কারনে শরীর ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম, বা শরীরচর্চা করা হয়না। রোগমুক্ত, টেনশনমুক্ত সু্ষ্ঠু জীবনযাপনের জন্য ঘরোয়া কিছু ব্যায়াম রয়েছে সেগুলো করা দরকার। ব্যায়াম নিয়মতি করলে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যধি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। যেমন: বুকডাউন প্রথমে ৫ বার বুক ডাউন দিয়ে শুরু করুন এরপর ধাপে ধাপে বাড়াবেন। এভাবে ৪/৫ মাস করুন দেখবেন আপনার শরীরের গঠন স্মাট এবং নিজকে খুব আনন্দদায়ক মনে হবে।
শরীরকে ফিটনেশ রাখতে হলে কষ্ট হলেও জিম বা শারিরীক ব্যায়াম করতে হবে। অবশ্য শরীর ঠিক রাখতে সময় লাগবে কিন্তু শরীরের গঠন আকৃতি বেশ সুন্দর ও স্মাট হবে। আপনি জিম করার সময় বেশিক্ষন রেস্ট নিবেননা। কেননা রেস্টের সময় যত কম হবে জিম তত দৃঢ় হবে। শরীর যদি বেশি চিকন বা পাতলা হয় তবে বেশি বেশি করে ভিটামিন জাতীয় খাবার যেমন: দুধ, ডিম, ফলমুল, শাকসবজি খাবেন এবং মোটা হলে ভাতের উপর খাবার কমাবেন এবং দুধ, ডিম, গরুর মাংস, অন্যান্য মাংস কম খাবেন।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাশি পেটে ২/৩ গ্লাস পানি খাবেন, খাবারের পর আবার পানি খাবেন। তবে মনে রাখবেন জিম করার আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা পর বেশি করে খাবার খাবেন। এক কথায় শরীরকে সবলভাবে টিকে রাখতে হলে অবশ্যই পরিমিত খাবার, নিয়মিত জিম বা ব্যায়াম করতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url