OrdinaryITPostAd

দেশীয় ছোট মাছের পুষ্টিকর গুন সম্বন্ধে জানুন

 ছোট মাছের পুষ্টিকর গুন ধরে রাখার জন্য যা যা করা দরকার

ছোট মাছ রান্না করার সময় অনেকে প্রচুর পরিমানে তেল ব্যবহার করে সেটা উচিত নয়। ছোট মাছ কম তেল দিয়ে রান্না করলে অথবা বেশিক্ষন ছাঁচ দিয়ে না রাখলে ছোট মাছের পুষ্টিকর গুন অনেক বেশি থাকে। মাছের যে ছোট কাঁটা বা অন্যান্য যে গুলো রয়েছে সেগুলো ফেলে না দিয়ে সবগুলো চিবিয়ে খেলে মাছের পুষ্টিকর গুন বজায় থাকে। যে সকল ব্যক্তির শরীর মোটা এবং চরব বেশি, তাদেরকে বড় মাছ না খেয়ে ছোট মাছ খাওয়া উচিত। প্রতিদিনের খাবারে অন্তত এক বেলা ছোট মাছ খেলে শরীরের পুষ্টিকর খাদ্যের ঘাটতি পুরন করা সম্ভব ।







 

চোখ ভাল রাখতে ছোট মাছের উপকারীতা

ছোট মাছ যেমন: টেংরা, পুঠি, মলা, ইত্যাদি জাতের মাছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ আছে। এছাড়াও এ মাছে ক্যালসিয়াম, জিংক, আয়রন, ফসফরাস, প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি আছে। যা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। চোখের বিভিন্ন রোগ ব্যাধি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। ছোট মাছ চোখের নতুন কোষ তৈরিতে সহাযতা করে। এজন্য চোখ ভালো রাখার জন্য ছোট মাছ খাওয়া একান্ত প্রয়োজন।






ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরনে ছোট মাছের উপকারীতা

ভিটামিন এ সমৃদ্ধ  ঢেলা বা মলা মাছ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেমন: নদীনালা, খালবিল, হাওড়, ইত্যাদি জায়গায় পাওয়া যায়। এসব মাছ শিশুদের খাওয়ানো হলে চোখের বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক ব্যাধি ও অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ছোট মাছের কাঁটা থেকে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে ছোট ছেলেমেয়েদের  ‘রিকেটস’ নামক এক প্রকার রোগ দেয়া দেয়। এছাড়া খাবারে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে গর্ভবতী মহিলাদের ‘অস্টিওম্যালেসিয়া’ নামক এক প্রকার রোগ হয়ে থাকে। এ রোগে সন্তান প্রসবকালে মহিলাদের খুব কষ্ট হয়। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। 

এছাড়া খাদ্যে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিজনিত কারনে শিশুদের কন্ঠে খিচুনি হয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর  ফলে মৃত্যুও হতে পারে। কাজেই সবধরনের মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যধি প্রতিরোধে ছোট মাছের গুরুত্ব অপরিসীম।

সামুদ্রিক ছোট মাছ বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি প্রতিরোধে সক্ষম

সামুদ্রিক ছোট মাছ যেমন: লটিয়া, রিটা, পোপা ইত্যাদি   আমাদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ফসফরাস, প্রোটিন ছাড়াও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান আয়োডিনের চাহিদা পুরনে সহায়তা করে। আয়োডিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আয়োডিনের অভাবে গলগন্ড রোগ হয়, মৃত সন্তান প্রসব , বিকলাঙ্গ ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু জন্মগ্রহন করতে পারে। এজন্য আয়োডিনের চাহিদা পুরনে সামুদ্রিক ছোট মাছের উপকারীতা রয়েছে।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায়, বড় মাছের যে ধরনের পুষ্টি রয়েছে , ছোট মাছে তেমনি পুষ্টি রয়েছে। বেশি বড় মাছ না খেয়ে ছোট মাছ খাওয়া প্রয়োজন। ছোট মাছ বলে সেগুলো অবহেলা বা অনীহা না করে নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় সংযুক্ত  করা একান্ত প্রয়োজন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪